যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বাসভবনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আলোচনার এক পর্যায়ে মোদির কাছে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের গভীরতা সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় মোদি বিমর্ষ হয়ে পড়েন এবং বলেন, নেপাল এখনও তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। ২০২০ সালে, ভারতের অধীনে থাকা তিনটি এলাকা নেপাল নিজের মানচিত্রে যুক্ত করেছে, যা ভারতের অনুরোধ সত্ত্বেও প্রত্যাহার করেনি।
মোদি আরও জানান, শ্রীলঙ্কায় বিভিন্ন অপকৌশল প্রয়োগ করে নিজের আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। তবে শ্রীলঙ্কার জনগণ তাকে গ্রহণ করছে না। শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে যে দুই প্রার্থীকে তিনি সমর্থন দিচ্ছেন, সম্ভবত তার (মোদির) কারণেই তারা পরাজিত হবে।
মালদ্বীপে ভারতের তাবেদার সরকার পরাজিত হয়েছে উল্লেখ করে মোদি বলেন, “জনতার ভোটে নির্বাচিত হয়ে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে ভারতকে আর ভয় পাচ্ছে না। মালদ্বীল সরকারের নির্দেশে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে মালদ্বীপ থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। এদিকে, ভারতের ওপর নির্ভরশীল ভুটানও চীনের সঙ্গে সীমান্ত আলোচনা শুরু করেছে।”
ড. ইউনূসের প্রতি তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে মোদি বলেন, “বাংলাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ভারতীয় মিডিয়ায় একের পর এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কেমন চান তা প্রতিটি সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন। সার্ককে পুনুরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়ে আমার ঘুম নষ্ট করছেন। কিন্তু আমার সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে ভারতীয় মিডিয়ায় প্রচার করতে হচ্ছে যে আমি তার সঙ্গে আলোচনা করতে ইচ্ছুক নই।”
বিশ্বস্ত মিত্র শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন মোদি। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার পতন এভাবে হবে, তা বুঝতে পারিনি। তাকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রাখার জন্য যা কিছু করা সম্ভব, আমি সব করেছি। গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এলে হাসিনাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় অভিজাত বাসভবনে আশ্রয় দিয়েছি।”
আবেগে কাতর হয়ে মোদি বলেন, “সেই হাসিনা এখন প্রতিদিন আমাকে ব্যঙ্গ করে বলছে, ‘যখন ক্ষমতায় রাখতেই পারবে না, তখন সারাজীবন প্রধানমন্ত্রী করে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে কেন? আমার মতো সহজ সরল একটা মেয়েকে সারাজীবন ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছিলে কেন? আজ তোমার জন্য আমি দেশ ছাড়া।’”
এই পর্যায়ে মোদি ফুঁপিয়ে ওঠেন। বৈঠকে উপস্থিত বাইডেনের হাউজ সেক্রেটারি জন কে’রিল বলেন, “শেখ হাসিনার কটাক্ষ সম্পর্কে বলতে বলতে মোদি এক মুহূর্তের জন্য থেমে গেলেন, এরপর ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করেন। আমরা কিছুক্ষণের জন্য হতভম্ব হয়ে পড়ি।”
পরিস্থিতি সামাল দিতে বাইডেন দ্রুত মোদির পাশে গিয়ে তার কাঁধে হাত রাখেন এবং বলেন, “চিন্তা করবেন না, এমন পরিস্থিতি সব নেতার জীবনে আসে। তবে সমাধান বের করার পথ সবসময় খোলা থাকে।”
বিশ্বের দুই বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রনেতার এই আবেগঘন মুহূর্ত অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে মোদির ক্রমশ সংকুচিত উপস্থিতি তাঁর রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে বা তিনি এই চ্যালেঞ্জ জয় করে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন—তা কেবল সময়ই বলবে।
The Review
macOS Sierra
A wonderful serenity has taken possession of my entire soul, like these sweet mornings of spring which I enjoy with my whole heart. I am alone, and feel the charm of existence in this spot, which was created for the bliss of souls like mine.
PROS
- Good low light camera
- Water resistant
- Double the internal capacity
CONS
- Lacks clear upgrades
- Same design used for last three phones
- Battery life unimpressive