ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় টেলিভিশন শো “দিদি নাম্বার ওয়ান”-এ অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, নেতৃত্ব, সাফল্য এবং চ্যালেঞ্জের গল্প শেয়ার করার জন্য তাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানটির ভক্ত এবং রাজনৈতিক মহলে এই খবর ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।
শেখ হাসিনা এক গোপন বার্তায় জানিয়েছেন, “দিদি নাম্বার ওয়ান” শোতে অংশ নেওয়া তার জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। তিনি বলেন, “আমি রাজনৈতিক জীবনে বহু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি, অনেক সাফল্যের গল্পও রয়েছে। এই শোতে আমার জীবন, সংগ্রাম এবং সাফল্যের গল্প শেয়ার করতে চাই, যা হয়তো অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হবে।”
“দিদি নাম্বার ওয়ান” শো’টি সাধারণত নারীদের জীবনের গল্প, তাদের সংগ্রাম এবং সফলতার চিত্র তুলে ধরে। নারীরা তাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ কিভাবে অতিক্রম করেছেন, তা শেয়ার করেন এই মঞ্চে। শেখ হাসিনার উপস্থিতি এই শো-এর জন্য একটি বিশেষ অধ্যায় হতে চলেছে। তিনি শুধু একজন নেত্রী নন, বরং তিনি বহুবার বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দেশ ও বিশ্বের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে তার অসামান্য ভূমিকা রয়েছে।
“দিদি নাম্বার ওয়ান”-এর প্রযোজকরা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা একজন শক্তিশালী নারী এবং একজন প্রভাবশালী নেত্রী। তার জীবনের গল্প শোনা সবার জন্যই এক বিশেষ অভিজ্ঞতা হবে। এছাড়া তার অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটির দর্শকসংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।
তবে, “দিদি নাম্বার ওয়ান”-এ শেখ হাসিনার এই অংশগ্রহণ নিয়ে চটেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে ‘দিদি’ নামে পরিচিত। তাঁর নেতৃত্ব, স্নেহ এবং তৃণমূল স্তরের রাজনীতির কারণে তিনি এই নামে সম্বোধিত হন। তিনি প্রকাশ্যে শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের সবাই আমাকে দিদি বলে ডাকেন, তাহলে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ শোতে অন্য দেশের দিদি আমদানি করার উদ্দেশ্য কি?”
মমতা আরও বলেন, “বাংলাদেশের নেত্রী শেখ হাসিনা যদি অন্য কোনো শোতে যান, জি বাংলা সা রে গা মা পা, ড্যান্স বাংলা ড্যান্স বা মিরাক্কেল, তাহলে আমি প্রতিক্রিয়া জানাতাম না। কিন্তু ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ শো আমার সাথে জড়িত নাম, তাই এর সাথে অন্য কেউ যুক্ত হলে তা মেনে নেওয়া আমার জন্য কঠিন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির পর “দিদি নাম্বার ওয়ান”-এর প্রযোজকরা অস্বস্তি বোধ করছেন। কিছু সূত্র বলছে, মমতার চাপের মুখে শো-এর প্রযোজকরা শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করছেন। তারা শোটি বাতিল না করলেও, মমতাকে সন্তুষ্ট করতে অনুষ্ঠানে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা যদি শেষ পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন, তাহলে এটি হবে “দিদি নাম্বার ওয়ান”-এর অন্যতম বিশেষ পর্ব, যা দুই দেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উপরও বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারে।